-অন্তর্বর্তী সরকারের হয় সংশোধন ও সঠিক পদক্ষেপ না হয় পদত্যাগের দাবিতে স্মারকলিপির দফা-
রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও জীবনের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামী, গণতন্ত্র ও সর্বজনীন মানবাধিকারের ধারক ভাই-বোন সকল মানুষ ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে -আল্লামা ইমাম হায়াত (মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রতিষ্ঠাতা)
ইসলামের নামে ইসলামের বিকৃতিকারি ধ্বংসাত্মক শত্রু, ধর্মের নামের অপব্যবহার ও ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র জবরদখলের চক্রান্তকারি, একক ধর্মের নামে সব মানুষের জীবনের স্বাধীনতা হরণ করে সবার উপর দলীয় মতবাদের স্বৈরদস্যুতা চাপিয়ে দিয়ে সবাইকে ক্রীতদাস করে রাখার স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক-হিংস্র-পাশবিক-সাম্প্রদায়িক-গোষ্ঠীবাদি-অপরাজনীতির দল, ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদি মওদুদীবাদি জামাত-শিবির ও আরো কতিপয় গণতন্ত্রবিরোধী ওয়াবীবাদি জঙ্গিবাদি দলকে সরকারি প্রশ্রয় ও প্রমোট করে আগামী নির্বাচন কলুষিত ও কুপ্রভাবিত করে দেশকে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিয়ে-
১) উপমহাদেশের সমস্ত জনগণের যুগ যুগের সীমাহীন ত্যাগে ভরা স্বৈরাচার মুক্তি আন্দোলন ও জীবনের স্বাধীনতার সকল আন্দোলনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা।
২) সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বিশেষ চক্রের কুক্ষিগত করে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে বিপথে পরিচালিত করা।
৩) দয়াময় স্রষ্টা ও তাঁর মহান রাসুলের প্রেমের ভিত্তিতে সব মানুষে ভালোবাসা ও কল্যাণ সাধনা এবং সব মানুষের জীবনের সুরক্ষা ভিত্তিক ইসলামের মানবিক আসল ধারা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া।
৪) জঙ্গিবাদি দলকে সরকারি প্রশ্রয় ও প্রমোট করে আগামী নির্বাচনকে অদৃশ্য প্রহসনে পরিণত করে গণতন্ত্রকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত করা ও জীবনের স্বাধীনতা মৃত্যুর দিকে ধাবিত করা।
৫) জঙ্গিবাদি দলের নেতাকে উপদেষ্টা করে উপদেষ্টা পরিষদ বা অন্তর্বর্তী সরকারকে জঙ্গিবাদের পক্ষে পক্ষপাত দুষ্ট করে দল নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলা।
৬) জনগণের জানমাল ইজ্জত রক্ষায় চরম ব্যর্থতা। জঙ্গিবাদি অপশক্তির আক্রমণ ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে মাজার-মসজিদ-মাদ্রাসা-খানকা ও বিভিন্ন ধর্মস্থান রক্ষায় ব্যর্থতা।
৭) জনগণের সংকটে পাশে দাঁড়াতে ও দেশ পরিচালনায় চরম অক্ষমতা।
৮) শিল্প কারখানা-বিনিয়োগ-ব্যবসা বাণিজ্য-জনগণের আয় উপার্জনের পথ ধ্বংস করে অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশ ও জীবন মহা বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেয়া।
৯) খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য অসহনীয় ও সকল জনগণের সাধ্যাতীত বৃদ্ধির ফলে ঘরে ঘরে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা-হাহাকার ও জনজীবনে ভয়ংকর সংকটের দায়ে।
১০) সকল সংকটের মূল একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈররাজনীতি নিষিদ্ধ না করে, সব মানুষের রাষ্ট্রীয় মালিকানাগত জীবনের অধিকার সুনিশ্চিত না করে, স্বৈরাচার উত্থান ও জীবনের স্বাধীনতা হরণ, একক গোষ্ঠীর রাষ্ট্র জবরদখল ও মানবাধিকার ধ্বংসের পথ বন্ধ না করে কতিপয় গৌণ টেকনিক্যাল বিষয়কে সংস্কার বলে চালিয়ে দিয়ে জীবন ও রাষ্ট্রের আসল সংকট অব্যাহত রাখা।
১১) সকল স্বৈরাচার বিরোধী এবং মানবতার রাজনীতি ও মানবতার রাষ্ট্রের ধারক একমাত্র রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবকে সংলাপে না ডেকে কেবল অতীতের বিভিন্ন খুনি ক্ষমতালোভী ভোট ডাকাত স্বৈরাচারি দল ও ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদি জংঙ্গীবাদি দলসমূহকে সংলাপে ডেকে দেশ ও গণতন্ত্র এবং মানবতার ভবিষ্যত রুদ্ধ করার দায়ে।